সন্তান জন্মের পর ৭টি সংকেত যে আপনাকে নিজের স্ত্রীরোগবিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে
১। উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর
১০০ ডিগ্রী ফারেনহাইটের বেশী তাপমাত্রা সহ জ্বরের সঙ্গে যদি পেট ব্যাথা ও কাঁপুনি হয়, তা হল সংক্রমণের লক্ষণ। বাচ্চার জন্মের পরে যদি সিজারিয়ান ক্ষত ঠিকমত না সারে, সেটা থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। এছাড়া এইসব উপসর্গের কারণ হতে পারে এমন কোন সংক্রমণ যা ছড়াচ্ছে যৌনাঙ্গ ও তার আশেপাশের অংশ, মলদ্বার বা মূত্রনালী থেকে। যদি ইউ.টি.আই (UTI)-এর সমস্যা থাকে, তাহলে প্রস্রাবের সময় যন্ত্রণা হতে পারে। এই সমস্ত সংক্রমণ খুবই দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে, তাই এগুলির বিষয়ে সাবধান থাকবেন। যদি এই অসুখগুলির কোন উপসর্গ দেখা যায়, তবে শীঘ্রই স্ত্রীরোগবিশেষজ্ঞের কাছে যান।
২। নিঃশ্বাসে কষ্ট
সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সময়, বা শারীরিক পরিশ্রম করতে গেলে নিঃশ্বাসের কষ্ট হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু এই অস্বস্তি যদি সারার পরেও থেকে যায়, বা যদি বিশ্রামের সময় হঠাৎ হঠাৎ হয়, তবে এটা পাল্মোনারি এম্বলিজ্ম-এর লক্ষণ হতে পারে। অর্থাৎ, ফুসফুসে রক্ত জমাট বাঁধার ফলে আপনার নিশ্বাস নিতে অসুবিধা হচ্ছে। তাই এরকম হলে তাড়াতাড়ি ডাক্তারের কাছে যাওয়া খুবই জরুরী।
৩। বুকে টান ভাব
বুকে ব্যাথা বা টান ভাব সেই পাল্মোনারি এম্বলিজ্মের লক্ষণ হতে পারে, যেটার বিষয়ে আগে আলোচনা করলাম। বুকে ব্যাথা অবশ্য প্রসবের শ্রম থেকেও হতে পারে। কিন্তু ব্যাথা যদি না কমে, বা এর সঙ্গে যদি নিঃশ্বাসের কষ্ট হয়, বা থুতুতে রক্তের ছিটে আসে, তবে ডাক্তারকে ডাকতে দ্বিধা বোধ করবেন না।
৪। মাথা ব্যাথা
প্রসবের আগে আপনাকে যে এপিডিউরাল দেওয়া হয়েছিল, তা থেকে মাথা ব্যাথা হতে পারে। কিন্তু তীব্র মাইগ্রেনের যন্ত্রণা বোধ করলে, সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার দেখানো উচিৎ। আপনার যদি বমি ভাব থাকে, মাথা ঘোরে, বা দৃষ্টি অস্পষ্ট হয়ে আসে, তবে এগুলো প্রি-এক্ল্যাম্পসিয়া-র লক্ষণ হতে পারে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার স্ত্রীরোগবিশেষজ্ঞের কাছে যান।
