অনেকেরই নানা কারণে চোখ নিয়মিত চুলকায়। এবং এই সসমস্যায় যারা ক্রমাগত চোখে হাত দিয়ে থাকেন বা চোখ ঘষাঘষি করেন তাদের এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তাই চোখের এ সমস্যায় হাত দিয়ে ঘষাঘষি না করে ঘরোয়া কিছু উপায় কি করবেন জানুন।
কারণ
পরিবেশ দূষণ, ধুলা বালি ইত্যাদি কারণে প্রায় অনেকেরই চোখ চুলকানো বা চোখে জ্বালা হওয়ার সমস্যা হতে দেখা যায়। এসব ক্ষেত্রে তাই ধুলোবালি থেকে রক্ষার জন্য উপযুক্ত চশমা ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যালার্জি দূর করুন
যদি অ্যালার্জির জন্য এমন সমস্যা হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অ্যালার্জির ওষুধও খেতে পারেন।
নুন জল
চোখের চুলকানোভাব কমাতে অত্যন্ত কার্যকর হল নুন জল। নুন জল দিয়ে চোখ পরিষ্কারের ফলে চোখে জমে থাকা যে কোনো ক্ষতিকর উপাদান পরিষ্কার হয়ে যায়। আর নুনে থাকা অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান যেকোনো জীবাণু ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এক কাপ বিশুদ্ধ জলের সঙ্গে এক চা-চামচ নুন মিশিয়ে অল্প সময় গরম করতে হবে যেন নুন ভালোভাবে মিশে যায়। মিশ্রণটি ঠাণ্ডা হলে চোখ ধোয়ার জন্য ব্যবহার করতে হবে। দিনে একাধিকবার ব্যবহারে ভালো উপাকার পাওয়া যাবে।
শসা
শসায় আছে অ্যান্টি ইরিটেশন প্রোপার্টিজ যা জ্বালা, ফোলাভাব, চুলকানো ইত্যাদি সমস্যায় দারুণ কার্যকর। তাই চোখে চুলকানো বা যেকোনো সমস্যায় একটি শসা ভালোভাবে ধুয়ে, পাতলা টুকরা করে কেটে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেফ্রিজারেটরে রেখে দিতে হবে। ঠাণ্ডা হলে দুই চোখের উপর দিয়ে ১০ মিনিট রাখতে হবে। দিনে পাঁচবার এইভাবে শসা ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে।
গোলাপজল
চোখের সমস্যায় দারুণ একটি ঘরোয়া সমাধান হল বিশুদ্ধ গোলাপ জল। চোখের জ্বলাপোড়াভাব দূর করে চোখ ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে এই পানি। চোখ পরিষ্কারের জন্য গোলাপজল ব্যবহার করা যেতে পারে। দিনে দুবার গোলপজল দিয়ে চোখ পরিষ্কার করলে উপকার পাওয়া যাবে।
গ্রিন টি
স্বাস্থ্য এবং ত্বক, দুয়ের জন্যই দারুণ উপকারি গ্রিন টি। চোখের সমস্যা থেকে রেহাই পেতেও গ্রিন টি ব্যবহার করা যায়। চোখ পরিষ্কারের জন্য এক কাপ জলে দুইটি গ্রিন টির ব্যাগ দিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিতে হবে। সম্পূর্ণ ঠাণ্ডা হয়ে গেলে এই মিশ্রণ দিয়ে চোখ পরিষ্কার করা যাবে।
ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা
ঘৃতকুমারী ত্বক আর্দ্র রাখতে দারুণ উপকারী। শুষ্ক ত্বক, ত্বকের চুলকানোভাব এবং ফোলাভাব কমাতেও দারুণ কার্যকর। একটি পাতা থেকে অ্যালোভেরা জেল বের করে এর সঙ্গে এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে সঙ্গে আধা কাপ এল্ডারবেরি ব্লসম টি মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। যতদিন সমস্যা পুরোপুরি না ভালো হবে ততদিন দিনে দুই বার মিশ্রণটি দিয়ে চোখ পরিষ্কার করতে হবে।
আলু
আলুতে থাকা অ্যাস্ট্রিনজেন্ট উপাদান চোখ চুলকানোর সমস্যা দ্রুত উপশমে সাহায্য করে। তাছাড়া চোখের ফোলাভাব ও লালচেভাব কমাতেও সাহায্য করে আলু। একটি আলু পরিষ্কার করে ধুয়ে পাতলা করে কেটে ঠাণ্ডা হওয়ার জন্য রেফ্রিজারেটরে রাখতে হবে। এরপর ঠাণ্ডা টুকরাটি চোখের উপর দিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।
