৯ মাসের কষ্ট ও অপেক্ষার পর আসে ওই বিশাল দিনটি অর্থাৎ, প্রসবের দিন!
ডাক্তাররা শিশুর জন্মের তারিখ কখনো ঠিক করে বলতে পারেন না। তাই যদি প্রসব যন্ত্রনা বাড়িতে শুরু হয়ে যায় বা মহিলা প্রসব দেওয়ার মত অবস্থায় বাড়িতে থাকাকালীনই হয়ে পড়েন, তো কিছু জিনিস আপনার জানা দরকার যাতে আপনি ঘাবড়ে না গিয়ে ভালোভাবে সন্তান প্রসব করতে পারেন!
হাসপাতালে ফোন করুন যদি বাড়িতে জন্ম না দিতে চান, ততক্ষন পর্যন্ত এই জিন্সটি করুন।
১. হাতটা ভালো করে ধুয়ে নিন। কাছের আত্মীয়দের ডেকে নিন যারা সাহায্য করতে পারবেন!
২.তোয়ালে বেডশিট দিয়ে পুরো বাড়ি ঢেকে দিন বা জানালা দরজা বন্ধ করে দিন। পিঠে বালিশ দিয়ে আরামে বসুন।
৩. এমন ভাবে শোবেন যাতে আরাম হয়। মাথা একটু উচু করে শোবেন যাতে দেখতে পান যে শিশুর মাথা দেখা যাচ্ছে কি না? বেশি চাপ পড়লে দাড়াবেন না, কারণ শিশু মাটিতে পড়লে মাথায় ব্যথা লাগবে।
৪. মাথা ঠান্ডা রাখুন অবশ্যই, না হলে ব্যথা বেড়ে যাবে।
৫. চাপ না পড়লে ঠেলবেন না, না হলে ক্লান্ত হয়ে পরবেন কারণ আগে থেকে ঠেললে ক্লান্ত হয়ে হবেনই। ৫ সেকেন্ড ছাড়া ছাড়া শ্বাস নিয়ে ঠেলবেন প্রতিবার।
৬. ব্যথা কতক্ষণ পর পর ওঠে দেখুন। ১০ মিনিট পর পর হলে অসুবিধা নেই! ৫ মিনিট পর পর হলেই মুশকিল!
৭. শিশুর মাথা বেরোনোর সময় যদি কর্দ গলায় জড়িয়ে থাকে তো শিশুকে টানতে বারণ করবেন। গলার থেকে আলতো করে খুলে ডাক্তারকে ডাকবেন!
৮. মাথা বেরোনোর পর যদি শরীর আটকে যায় তাহলে পাশের মানুষটিকে বলবেন আপনার পেটে চাপ না দিতে ও শিশুকে না টানতে। গভীর শ্বাস নিন ও ঠেলতে থাকুন। বেরোনো সময় শিশুর গলায় হাত দেবেন না।
৯. বেরিয়ে গেলে পেটে বা বুকে রাখুন। স্তনে ম্যাসাজ করুন তাহলে কর্দ নিজেও আলগা হয়ে খুলে আসবে।
১০. কম্বো তোয়ালে দিয়ে শিশুকে গরম রাখুন।
১১. শিশুর নাক পরিষ্কার করে দেখুন সে শ্বাস নিছে কি না। আঙ্গুল বা পরিষ্কার কাপড় ব্যবহার করুন। স্বাস না নিলে পিঠে হাত বুলিয়ে দিন।
১২. নাভির তলায় চাপ দিন ও যোনির কাছে বাটি রেখে প্লাসেন্টা টি বার করুন। রক্ত বেরোবেই, তাতে ভয় পাবেন না!
এই সমস্ত উপকরণগুলি আগে থেকেই বাড়িতে রাখবেন।
১. গরম জল।
২. পরিষ্কার তোয়ালে ও ঘর।
৩.ঘরের তাপ যেন বেশি হয়।
সেই সময় দরজা খোলা রাখবেন যাতে লোকে যাতায়াত করতে পারে।
