মেকআপ প্রয়োজন ছাড়া ব্যবহার না করার চেষ্টা করুন। কারণ প্রতিদিন মেকআপ ব্যবহারের ফলে মেকআপের ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের কারণে আপনার ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারাচ্ছে। এছাড়াও আর কি কি ক্ষতি হতে পারে দেখে নিন।

দীর্ঘস্থায়ী বলিরেখা
মেকআপে থাকা রঞ্জক এবং অন্যান্য পদার্থতে পরিবেশের ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য উপাদান মিশে যায়। এই মেকআপ দীর্ঘক্ষন ত্বকে থাকার কারণে ত্বকে ব্রণ দেখা দেয়। এছাড়া এটি নতুন কোষ গঠনে বাঁধা প্রদান করে ত্বকে স্থায়ী বলিরেখা ফেলে দিয়ে থাকে।

ত্বকের ছিদ্র বড় করে দেওয়া
প্রতিদিন মেকআপ করার আরেকটি ক্ষতিকর দিক হল ত্বকের ছিদ্র বড় করে দেয়। মেকআপের অবশিষ্টাংশ ত্বকের ভেতরে থেকে যায়। যা পরবর্তীতে ত্বকে ব্যাকটেরিয়া, জীবাণুর উৎপাদন করে থাকে। এই ব্যাকটেরিয়া ধীরে ধীরে ত্বকের ছিদ্র বড় করে তোলে।

চোখের ক্ষতি
প্রতিদিন চোখে মেকআপ ব্যবহারের ফলে চোখে ইনফেকশন হয়ে থাকে। চোখ চুলকানি, চোখ লাল হওয়া, চোখ জ্বালাপোড়া সহ নানা সমস্যা হতে পারে। মাশকারায় এমন এক প্রকারের ব্যাকটেরিয়া থাকে যা কারণে অন্ধ হয়ে যেতে পারেন আপনি!

ঠোঁট শুষ্ক এবং কালো হয়ে যাওয়া
সাধারণত মেয়েরা সারাদিন ঠোঁটে লিপস্টিক লাগিয়ে থাকেন। এটি আপনার ঠোঁটকে শুষ্ক করে তোলে। দীর্ঘক্ষণ লিপস্টিক লাগিয়ে রাখার কারণে ঠোঁট তাঁর প্রাকৃতিক রং হারিয়ে ফেলে।

চোখের চারপাশে বলিরেখা
প্রতিদিন ফাউন্ডেশন ব্যবহারে আপনার ত্বকে বলিরেখা পড়ে থাকে। মুখের অন্যান্য স্থানে বলিরেখা ফুটে উঠার আগে চোখের চারপাশে বলিরেখা আগে দেখা দেয়।

মাথাব্যথা
বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে মেকআপের রাসায়নিক পদার্থ এর সাথে মাথা ব্যথার সম্পর্ক রয়েছে। গাল এবং কপালে মেকআপের প্রলেপ মাথা ব্যথা সৃষ্টি করে থাকে। হঠাৎ করে মাথাব্যথায় আক্রান্ত হলে অবাক হবেন না। আপনার অতিরিক্ত মেকআপ এর জন্য দায়ী।

ত্বকের নমনীয়তা হারানো
মেকআপ ত্বকের টিস্যুর ক্ষতি করে থাকে। যার কারণে ত্বক তার নমনীয়তা হারিয়ে ফেলে। যার কারণে ত্বকে বয়সে ছাপ দ্রুত পড়ে যায়।
