শিশু মা বাবাকে মাত্র আনন্দ নয়, গর্বও দেয়- তার এক একটি কাহিনী মা বাবা রসিয়ে শোনান!কিন্তু ভাবুন মা বাবার মানসিক অবস্থা হয় যখন জানতে পারেন যে শিশুর অটিজম জাতীয় অসুখ আছে!
অটিজম কি?
অটিজম স্পেকট্রাম দিসর্দার( এ.এস.ডি.) রোগের একটি সমষ্টি যাতে শিশুর কথা বার্তা, চিন্তা ভাবনা ও আচরণ একটু অন্য রকম হয়!৩ মাস থেকে ২৪ মাস বয়সের মধ্যে এই রোগ ধরা যায়।
অটিজমের কারণ
এটি মাত্র জেনেটিক নয়, মায়ের গর্ভে থাকা কালীন কোনো ব্যথা পেলেও এই রোগ হতে পারে!
গর্ভে থাকা কালীন কারণ
-কম পুষ্টি
- প্রথম ত্রৈমাশিকে মা এন্টি-দিপ্রেসেন্ট খেলে
-মা বাবার বয়স
-মায়ের সংক্রমণ হলে
- মেটাল বা পেন্টের সাথে বেশি যোগাযোগ হলে
-জন্মের সময় কোনো অসুবিধা হলে
মাইলস্টোন দিয়ে চিনুন রোগ
মা বাবা হিসেবে আপনারা ডাক্তারের থেকে বেশি সময় কাটান শিশুর সাথে.তাই শিশুর বেড়ে ওঠার ওপর নজর রাখবেন ও দেখবেন সে মাইলস্টোন লাভ হযে কিনা- কিছু গরবর হলেই ডাক্তারকে জানাবেন।
৩ মাসের শিশু:
১. হাসবে
২. অস্পষ্ট কথা বলবে
৩. নতুন মুখের দিকে তাকাবে
৪. চলন্তে জিনিসকে দেখবে
৫. জিনিস ধরার চেষ্টা করবে
৬. জোরে আওয়াজ হলে চমকে উঠবে

৬ মাসের থেকে বড় শিশুদের:
-জোরে জোরে হাসবে
-চেনা লোকের থেকে আদর চাইবে
-কথা দিয়ে আওয়াজ আসছে খোজার চেষ্টা করবে
-আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইবে
- আসে পাশের জিনিস ধরবে
-সোজা খেলায় মন দেবে যেমন লুকোচুরি
১২ মাসের থেকে বড় শিশুদের:
-হামাগুড়ি দেবে
-হাত নাড়িয়ে টাটা করবে
-সাহায্য ছাড়া উঠে দাড়াবে
-মা বাবার দিকে ঈশারা করে ডাকবে

২৪ মাসের থেকে বড় শিশুদের:
-অন্তত ২০ টি শব্দ জানবে
-আপনার নকল করবে
-দৈনিক জীবনের বস্তুর কাজ জানবে যেমন ফোন বা চামচ
-২ অক্ষরের শব্দ গড়ে তুলতে পারবে
-খেলনার গাড়ি টানা ও ঠেলা করতে পারবে
-হাত তালি দেওয়া বা উঠে দাড়ানোর আদেশ মানতে পারবে

যদি বর্ধমান শিশু এর মধ্যে কোনো বাড়তি না দেখায় তো ডাক্তার দেখান। সমাজে অটিস্টিক বাচ্চাদের খুব হেও করা হয়। কিন্তু তা না হয়ে লোকেদের চিত এই বাচ্চাদের কাছে টেনে নেওয়া! গর্ভবতী মায়ের মন ভালো থাকতে হবে সুস্থ শিশুকে জন্ম দেওয়ার জন্য.এবং জন্মের পর শিশুর ডাক্তারের এপয়েন্টমেন্ট ভুলবেন না!
